শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

যে ৩ কারণে শরিকদের কারো কোরবানি হবে না

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩
  • ২৩ Time View

কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্য থাকার পরও যে কোরবানি করে না, হাদিসে তার নিন্দা করা হয়েছে। ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্তবয়স্ক স্বাধীন মুসলমানের ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।

কোরবানির মতো মহান ইবাদতে কাউকে শরিক করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে তিন বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকলে সব শরিকের কোরবানি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিচে এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। শরিকে কোরবানির মাসয়ালা, কারো কোরবানি হবে না

১) নিয়ত অশুদ্ধ: কোরবানিতে অংশীদার নির্বাচন করতে হয় প্রত্যেককে ভালোভাবে জেনে-বুঝে। শরিকের কারো নিয়ত গলদ হলে কারো কোরবানিই (অন্য শরিকদের কারো কোরবানি) শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮, কাজিখান: ৩/৩৪৯) শরিকানা কুরবানী

২) হারাম সম্পদ: কোরবানি করতে হবে সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে। হারাম টাকায় কোরবানি করা শুদ্ধ নয় এবং এক্ষেত্রে একজনের টাকা হারাম হলে অন্যদের কোরবানিও শুদ্ধ হবে না। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন—‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি হালাল ও পবিত্র ব্যতীত কোনোকিছু গ্রহণ করেন না।’ (সহিহ মুসলিম: ২২১৫) শরিকদের কোরবানি, কোনো শরিকের কোরবানি হবে না

সুতরাং কোরবানির পশু ক্রয় করার আগে অন্য শরিকদের নিয়ত ও হালাল টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। অন্যথায় কোরবানির পশুতে কারো হারাম টাকা অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতে পারে। এতে কোনো শরিকের কোরবানিই শুদ্ধ হবে না। কোরবানীতে অংশীদার নির্বাচন

৩) অংশে তারতম্য: শরিকে কোরবানি করার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো—কোরবানির পশুতে প্রত্যেক অংশ সমান হতে হবে। কোনো অংশ অন্য অংশ থেকে কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭) হারাম টাকায় কোরবানি, কোরবানির নিয়ত অশুদ্ধ

উল্লেখ্য, তিন শ্রেণির চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে কোরবানি করা যায়। যেমন ১) ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। ২) গরু, মহিষ। ৩) উট। উল্লেখিত পশু থেকে গরু, মহিষ, উট সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)। কোরবানির জন্য উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। (মুআত্তা মালেক: ৭৫৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহিহ সুন্নাহ মেনে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category