
সাতক্ষীরা : শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মিয়ারাজ হোসেন পিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম শহিদুল আলম ওর্য়াড বিএনপির নেতৃত্বে আনতে তোড়জোড় করছে বিএনপি নেতা শহীদ । শহিদুজ্জামান শহীদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সার্চ কমিটির সদস্য।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক কে ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করতে তদবির করায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভিতর চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
মিয়ারাজ হোসেন পিন্টু ও শহিদুল ইসলাম দুজনে আওয়ামী যুবলীগের স্থানীয় নেতা। তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল সভাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছে সম্মুখ সারি থেকে। নেতৃত্বের সেই সব ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।
তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের কর্মী হয়ে যান মিয়ারাজ হোসেন পিন্টু ও শহিদুল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ২ নং রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদের আশ্রয়ে যুবলীগের মিয়ারাজ ও শহিদুল চলছে। শহীদ নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে আওয়ামী যুবলীগের কর্মীদের বিএনপির নেতৃত্বে আনার তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। শহীদে কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের বিএনপি’র কর্মীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ শে নভেম্বর রমজান নগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্যাডে ২ নং ওর্য়াডে ৩১ বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই কমিটিতে মিয়ারাজ হোসেন পিন্টু সাধারণ সম্পাদক ও শহিদুল ইসলাম সাংগঠনিক নির্বাচিত হয়। ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর তারা বিএনপি নেতা শহীদের আশ্রয় আবার বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করে । আগামী ৩ অক্টোবর শুক্রবার ২ নম্বর রমজাননগর ওয়ার্ড বিএনপি’র কমিটি গঠনের কথা রয়েছে। উক্ত কমিটিতে
টাকার বিনিময়ে শহীদের হাত ধরে যুবলীগ নেতা মিয়ারাজ ও শহিদুল ওর্য়াড বিএনপির নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছে।
রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ বলেন, তারা যুবলীগের কর্মী ছিল এটা মিথ্যা। মিয়ারাজ হোসেন নাশকতা মামলার আসামী। আওয়ামী লীগের মিছিল সমাবেশে ছবি থাকার বিষয়ে বলেন সে স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মেম্বার সোহরাবের সাথে ওটা বাসা ও চলার কারণে হয়তো ছবি থাকতে পারে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি স্থানীয় যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেনের সাথে থাকতাম। তার সাথে থাকার কারণে হয়তো ২/১ টা ছবি থাকতে পারে। তিনি যদি আমার অজান্তে কোন কমিটিতে নাম দিয়ে থাকে সেটা আমার জানা নেই। আমি আওয়ামী লীগের প্রথম দিকে নাশকতা মামলার আসামী ছিলাম।
অভিযুক্ত সাবেক যুবলীগ নেতা মিয়ারাজ বলেন,
আরেক অভিযুক্ত সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুলকে বারবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করিনি। তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রমজাননগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন বলেন, মিয়ারাজ ও শহিদুল দজনই যুবলীগের ওর্য়াডে নেতা ছিলেন। তারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সকল মিছিল সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছে। ৫ আগষ্টের পর তারা এখন বিএনপির সাথে চলছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, যদি কেউ যুবলীগের পদে থেকে আবার এখন বিএনপির ওর্য়াডে প্রার্থী হয় তাদের আমরা চিহ্নিত করব। তাদের বিষয়ে অভিযোগ সত্য হলে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিব নেতৃত্বে পদ পদবীতে আনব না।